রাজধানীর শেরে বাংলানগরে ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মাসব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই মেলার আয়োজন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এবারের মেলায় থাকছে ১৮ দেশের ৫৪০টি স্টল। বাংলাদেশ ছাড়াও মেলায় অংশ নিচ্ছে ১৭ দেশ। এগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ভুটান, মরিশাস, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, নেপাল এবং হংকং। প্রতিবছর মেলায় স্টল বরাদ্দের হার বেশি। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর বাণিজ্যমেলায় স্টলের সংখ্যা কমছে ৪৪টি।
ইপিবির মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর গণমাধ্যমকে রউফ জানান, এবার মেলা প্রাঙ্গণে চলাচলের রাস্তা প্রশস্ত রেখে অর্কিড বাগান, মিনি সুন্দরবন তৈরি ও বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নের জন্য বাড়তি জায়গা রাখার কারণে স্টল কমিয়ে দেয়া হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টল ও প্যাভিলিয়ন তৈরির কাজ চলছে। বেশিরভাগ কাজই ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিবারের মতো এবারের মেলায়ও থাকছে তৈরি পোশাক, হোমটেক্সটাইল, ফেব্রিক্স পণ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহস্থালি ও উপহার সামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিকের তৈজসপত্র, প্লাস্টিক পণ্য, কসমেটিকস হারবাল ও প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, জুয়েলারি, নির্মাণ সামগ্রী ও আসবাবপত্রের স্টল।
আয়োজকরা জানান, এবারের মেলার আকর্ষণ থাকবে ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। যার মাধ্যমে মেলায় অবস্থিত স্টল ও প্যাভিলিয়নের অবস্থান জানতে পারবে দর্শনার্থীরা। এছাড়া গতবারের তুলনায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নের আকার এবার দ্বিগুণ করা হয়েছে।
দেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের আঁকা বঙ্গবন্ধুর উপর ২৬ চিত্রকর্ম থাকবে এই প্যাভিলিয়নে। তাছাড়া এবার মেলায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও পাখির পরিচিতির জন্য থাকবে পৃথক ফিশ অ্যাকুরিয়াম ও বার্ড অ্যাকুরিয়াম নিয়ে থাকবে একটি মিনি সুন্দরবন। গত বছরের মেলায় ৮০ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে। তবে এবারের মেলায় আরো রপ্তানি আদেশ বাড়বে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।