এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে পদ্মাসেতুর কাজ। সেতুর ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর তৃতীয় স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) ৭-সি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো ৪৫০ মিটার কাঠামো।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বসানো হয় প্রথম স্প্যানটি। এর প্রায় ৪ মাস পর চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। এর মাত্র দেড় মাস পর রোববার (১১ মার্চ) শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ধূসর রঙের তৃতীয় স্প্যানটি বসানো হলো।
রোববার সকাল থেকেই শুরু হয় স্প্যান বসানোর আনুষঙ্গিক কাজ। সকাল ৯টার দিকে পিলারের ওপর স্প্যান বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় প্রায় অর্ধ কিলোমিটারের সেতু। এর আগে শনিবার (১০ মার্চ) বিকেলে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যান নিয়ে ভাসমান ‘তিয়ান ই’ ক্রেনটি ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের কাছে পৌঁছায়। এই ক্রেনের ধারণ ক্ষমতা তিন হাজার ৬০০ টন।
পদ্মাসেতু প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, সকালে স্প্যান বহনকারী ক্রেনটিকে ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের সামনে পজিশন অনুযায়ী আনা হয়। এরপর লিফটিং ক্রেনের সাহায্যে অস্থায়ী বেয়ারিংয়ের ওপর রাখা হয় স্প্যানটিকে। তবে স্থায়ীভাবে বসতে কয়েকদিন সময় লাগবে। এছাড়া স্প্যান ওঠানোর আগে ওয়েট টেস্ট, ট্রায়াল লোড টেস্ট, বেজ প্লেট, পাইল পজিশন, মেজারমেন্টসহ আনুষঙ্গিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২ পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এই সেতুর কাঠামো এবং সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি।