সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক দাবা টুর্নামেন্টে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলি দাবাড়ুদের ভিসা দেয়া হয়নি। অনেক বিতর্কের মাঝে সেই টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে।
একজন সৌদি কর্মকর্তা বলেছেন, যেহেতু সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, সেকারণেই তারা ইসরায়েলি দাবাড়ুদের ভিসা দেননি। ইসরায়েলি দাবা ফেডারেশন বলেছে, সৌদি কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের পর তারা আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশনের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইবে।
সৌদি আরবে এই প্রথম কোন আন্তর্জাতিক দাবা টুর্নামেন্ট হচ্ছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে যেসব সংস্কারের মাধ্যমে দেশটিকে বাইরের দুনিয়ার জন্য খুলে দেয়ার চেষ্টা চলছে, এটিকে তারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ইউক্রেনের একজন মহিলা দাবাড়ু আনা মুজিচুক জানিয়েছেন, তিনি এই টুর্নামেন্টে যাবেন না, কারণ তিনি 'আবায়া' পড়তে চান না। সৌদি আরবে মহিলারা প্রকাশ্য স্থানে যাওয়ার সময় তাদের বোরকার মতো আপাদমস্তক আবৃত করা আচ্ছাদন 'আবায়া' পড়তে হয়। আনা মুজিচুক দুবারের বিশ্ব শিরোপাধারাী দাবাড়ু।
তিনি বলেছেন, সৌদি আরবের এই টুর্নামেন্টের পুরস্কার যাই হোক, তিনি সেখানে যাবেন না। যদি তার আগের শিরোপা কেড়ে নেয়া হয় তারপরও নয়। বাদশাহ সালমান ওয়ার্ল্ড র্যাপিড এন্ড ব্লিটজ চেস চ্যাম্পিয়ন্সশীপের সর্বোচ্চ পুরস্কার হচ্ছে সাড়ে সাত লাখ ডলার।
অপরদিকে আমেরিকার তিন নম্বর দাবাড়ু হিকারু নাকামারু বলেছেন, সৌদি আরবকে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে দেয়া ঠিক হয়নি। ভিসা না পাওয়ায় ইসরায়েলের সাত জন দাবাড়ু খেলতে পারছেন না। কিন্তু কাতার এবং ইরানের দাবাড়ুদের অবশ্য শেষ মূহুর্তে ভিসা দেয়া হয়েছে।
ইসরায়েল বলেছে, তাদের ধারণা ছিল সৌদি আরব এই টুর্নামেন্টে ইসরায়েলি দাবাড়ুদের খেলতে দেবে। ইসরায়েল বলছে, বিশ্ব দাবা সংস্থাকে সৌদি আরব আসলে বিভ্রান্ত করেছে যাতে করে তারা এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে পারে। সূত্র: বিবিসি বাংলা