জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় নাসিমা আক্তার মায়া নামে জেলার এক শ্রেষ্ঠ জয়ীতাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। হরিণাকুন্ডুর ভবানীপুর গ্রামের দিন মোহাম্মদ মোল্লার মেয়ে নাসিমা আক্তার মায়া স্থানীয় তাহেরহুদা ইউনিয়নের সংরক্ষিত-১ ওয়ার্ডের মেম্বর ও মায়েদের স্বপ্ন পুরণ মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক। তিনি মঙ্গলবার রাতে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা ভর্তি হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভালকী বাজারে চলন্ত বাস থেকে নামিয়ে তার উপরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তার কাছ থেকে জরুরী কাগজপত্র, একটি দামী ঘড়ি, সোনার আংটী ও ৪২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। নাসিমা আক্তার মায়া জানান, বিকালে বাস যোগে তিনি স্থানীয় কাপাশহাটিয়া বাজারে জনৈক কামরুলের দোকানের বাকী টাকা পরিশোধ করতে যাচ্ছিলেন।
এ সময় কাপাশহাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ভালকী বাজার নামক স্থানে মহিলা মেম্বর শিখা, ওহিদ মেম্বর, সাব্বির মেম্বর, আরিফ, ইউনুস আলী ও মুকুলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী চলন্ত বাস থামিয়ে নাসিমা আক্তার মায়ার উপর হামলা চালায়। হরিণাকুন্ডুর তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনজুরুল আলম মনজেরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কারণে তার উপর এই হামলা চালানো হয় বলে ইউপি মেম্বর নাসিমা আক্তার মায়া জানান। তিনি আরো অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান মুনজুরুল আলম মনজের টাকার বিনিময়ে ভিজিডি কার্ড, বয়স্ক, প্রতিবন্ধি ও বিধবা ভাতা দিয়ে থাকেন। টিআর, কাবিটা ও এলজিএসপির টাকা লোপাট করেন। মেম্বরদের নিয়ে কোন মিটিং বা সভা করেন না। রাস্তার ধারের গাছ বিক্রি করে সাবাড় করে দেন। হাট ইজারা ও ওয়ান পার্সেন্টের টাকা ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে নয়ছয় করছেন। এ সব নিয়ে তিনি সোচ্চার ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি কে.এম শওকত হোসেন জানান, জয়ীতা নাসিমা আক্তার মায়া থানায় এসেছিলো। কারেন্ট না থাকায় তাকে আমি সকালে আসতে বলেছি। বিষয়টি নিয়ে তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরষিদের চেয়ারম্যান মুনজুরুল আলম ওরফে মনজেরকে ফোন করা হলে বন্ধ পওয়া যায়।