বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
অর্থের অভাবে চোখের আলো নিভে যাচ্ছে শিশু সাঈদের
প্রকাশ: ০১:০৮ pm ০৪-১০-২০১৭ হালনাগাদ: ০১:০৯ pm ০৪-১০-২০১৭
 
 
 



মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ  টাকা নেই বলে চিকিৎসা হতে পারছে না শিশু সাইদ। তিন বছরের শিশুটি এখনো জানে না চিকিৎসা না হলে হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই তার চোখের আলো নিভে যাবে। শিশু আবু সাঈদ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের কৃষক মোশারফ হোসেনের একমাত্র সন্তান। তার বাম চোখটি ইতিমধ্যে তুলে ফেলতে হয়েছে। চিকিৎসা না করালে ডান চোখটিও তুলে ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সরেজমিনে দেখা যায়, ফুটফুটে সাঈদ বিছানার ওপর বসে খেলছে। তার বাম চোখে আলো নেই তা বোঝার উপায় নেই। শিশুটির মামা মনিরুজ্জামান বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে শেষবারের মতো সাঈদের একটি চোখ রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু অর্থের অভাবে পারছে না। এমনকি ডান চোখটি তুলে ফেলতে যে অর্থ দরকার, তার জোগাড়ও করতে পারছেন না তারা। তাই বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে পড়ে আছে সাঈদ। সাঈদের মা বন্যা খাতুন জানান, ছয় মাস বয়সে সাঈদের বাম চোখ লাল হয়ে আসে। ঢাকায় ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, সাঈদের চোখে টিউমার হয়েছে। চোখটি তুলে ফেলতে হবে। এরপর তাঁরা বাড়ি ফিরে টাকার জোগাড় করতে থাকেন। টাকা জোগাড় করে আবার ঢাকায় যান। এর মধ্যে কেটে যায় এক বছর। তখন চিকিৎসকেরা চোখে ক্যানসার হয়েছে বলে কেমোথেরাপি দেওয়ার পরামর্শ দেন। চারটি কেমো দেওয়ার পর বাম চোখটি উঠিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। শিশুটির মা বন্যা খাতুন বলেন, চিকিৎসকেরা বাকি চোখটিও তুলে ফেলতে বলার পর তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সাঈদের মায়ের ইচ্ছা, ভারতে নিয়ে একবার চেষ্টা করতে পারলে ভালো হতো। না হলে ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজনে বাকি চোখটিও তুলে ফেলার ব্যবস্থা করবেন। স্থানীয় পদ্মকর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, সাঈদের বাবা মোশারফ হোসেন অসচ্ছল। তাঁর একমাত্র ছেলের দুটি চোখই ফেলে দিতে হবে, ভাবতেই কষ্ট হয়। আর্থিক সচ্ছলতা থাকলে তাঁরা একটি চোখ বাঁচানোর চেষ্টা করত, কিন্তু সেটাও পারছে না। শিশু সাঈদকে সহযোগীতা করতে বিকাশ ০১৭৭০-৭৪২৮৭৩-ব্যক্তিগত, অথবা মো: মনিরুজ্জামান, চলতি হিসাব নং-০০২১১৮৬০৯, সোনালি ব্যাংক, হাটগোপালপুর শাখা, ঝিনাইদহ।
 

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT