আজ বৃহস্পতিবার মহাষ্টমীতে বেলা ১১টার দিকে রামকৃষ্ণ মঠে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬টি উপকরণ দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস—এই পাঁচ উপকরণে দেওয়া হয় ‘কুমারী’ মায়ের পূজা। অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হবে পুষ্পমাল্য। কুমারী পূজা শেষে ভক্তরা মহাষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দেবেন।
কুমারী পূজা কেন হয়—এ বিষয়ে রামকৃষ্ণ মঠের মহারাজ স্বামী গুরু সেবানন্দ শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, সব নারী ভগবতীর একেকটি রূপ। শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর বেশি প্রকাশ। কুমারী পূজার মাধ্যমে নারী হয়ে উঠবে পবিত্র ও মাতৃভাবাপন্ন। প্রত্যেকে শ্রদ্ধাশীল হবে নারীর প্রতি।
১৯০১ সালে ধর্মপ্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মঠে কুমারী পূজার মাধ্যমে এর প্রচলন করেন। তখন থেকে প্রতিবছর দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে এ পূজা চলে আসছে। পূজার আগ পর্যন্ত কুমারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। এ ছাড়া নির্বাচিত কুমারী পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন আচার-অনুষ্ঠান করতে পারে। শাস্ত্র অনুসারে, সাধারণত ১ থেকে ১৬ বছরের সুলক্ষণা কুমারীকে পূজা করা হয়।
কুমারী পূজা ছাড়া আজ মহাষ্টমীতে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বেলা একটা থেকে সারা দিন ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদিদের মধ্যেও প্রসাদ বিতরণ করা হবে। অন্য মন্দির ও মণ্ডপগুলোতেও পূজা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হবে।