কিছুদিন পরেই বন্ধ হয়ে যাবে শুটকী পল্লীর চাতাল। এনিয়ে এখনই দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন শাহানা বেগম (৩৮)। শ্রমানুযায়ী পারিশ্রমিক কম হলেও বছরের ছয় মাসের এ কাজ তার স্বামীহীন পরিবারের মুখে জোগাত খাদ্য। বেতন যাই হোক না কেন পরিবারের খাবারের নিশ্চয়তায় তাকে খুঁজতে হবে নতুন কাজ।
ধানের চাতালে কাজ করছেন বিধবা আয়শা বেগম(৪৮)। প্রখর রোদে সকাল থেকে রাত অবধি দিয়ে যাচ্ছেন হাড়ভাঙা খাটুনি। মাসের ত্রিশ দিনই দিতে হচ্ছে এ কঠোর শ্রম। প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা বেতনে চলে পুত্র কন্যাদের নিয়ে রাস্তার পাশের বসতি ঘরের জীবন। সবার মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দিতে পেরে খুশী আয়েশা বেগম।
আরেক নারী জুলেখা (৪২)। স্বামী দিনমজুর। যখন যে কাজ পান তাই করেন। একই অবস্থা জুলেখার। সকাল থেকে স্বন্ধ্যা প্রতিদিন খাটুনিতে সমান রোজগার মেলেনা। তবুও তৃপ্ত তিনি। দু’জনের আয়ে বেরিবাঁধের ঝুপড়ি ঘরের সংসারের সবার মুখে অন্ন জোটে।
এমন অসংখ্য নারী রয়েছেন পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায়। যারা উপকূলীয় জীবনযাত্রায় কঠোর সংগ্রামে আয় রোজগার করে যাচ্ছেন। কেউবা নেট জালে পোনা শিকার করছে, খালে-নদীতে মাছ শিকার করছেন, ইটভাটাসহ বিভিন্ন নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করছেন। উপকূলের এসব দরিদ্র নারীদের কাছে শ্রম মূল্য মুখ্য বিষয় নয়। পরিবার সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দেয়াই তাদের আসল উদ্দেশ্য। এখানেই তাদের সুখ। পরম তৃপ্তি।