আকবর রাব্বীঃ ঈদের পূর্ব মূহুর্তে খামারীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।ভালো দামের আশায় খামারীরা দেশের বিভিন্ন হাটে গরু বিক্রির পরিকল্পনা করেছে।তবে যানজট ও ভাঙ্গা রাস্তাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা কারণে বিভিন্ন হাটে গরু নিয়ে যাবার সমস্যার কথা জানালেন তারা।
কুষ্টিয়ার একজন খামারী জানালেন, ঢাকার রাস্তার যে বেহাল অবস্থা তাতে ৩০ হাজার টাকার গাড়ী ৪০ হাজার টাকা চাচ্ছে আমরা ২-৪টা গরু নিয়ে কিভাবে পোশাব? আমরা বেঁচে কিনে কিভাবে এনজিওর টাকা দেবো আর লাভ কিভাবে করবো?
আরেকজন খামারী জানালেন, সরকারের কাছে আমাদের আবেদন যদি এক সপ্তাহের মধ্যে রাস্তাঘাট ঠিক করে দেয় তাহলে কৃষক কিছুটা বাঁচবে।কারণ এখানেতো কৃষক পশুর দাম পাবে না।
এবাব পশুর খাদ্যের দাম বাড়ায় পশু পালন করতে খরচ ও হয়েছে বেশি।এরপর যদি ভারতীয় গরু আমাদের বাজারে আসে তাহলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলে জানালেন খামারীরা।
এ সর্ম্পকে খামারীরা বলেন, আমরা যারা ব্যাঙ্গক থেকে ঋণ নিয়েছে আর যদি ভারত থেকে ৮-১০ গরু আসে তাহলে আমাদের দেশের গরুর দাম কমে যাবে আর তাতে আমরা বিশাল ক্ষতির মধ্যে পরে যাবো।আর তখন আমরা ব্যাংকের টাকা শোধ দিতে পারবো না। জায়গা-জমি বিক্রি করে পরে ব্যাংকের টাকা-পয়সা আমাদের শোধ করতে হবে।
আর স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে মোটাতাজাকরণের ক্ষতিকর ঔষধ ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন জানালেন জেলা প্রাণী-পশু সম্পদ কর্মকর্তা।
এবার কুষ্টিয়ায় ২১ হাজার খামারে ৯২,৭৮১টি কোরবানীর জন্য পালন করা হয়েছে।