নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মসজিদ কমিটিকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি ও ব্যাপক সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্র ও শনিবার দফায় দফায় হামলায় উভয় পক্ষের ২০জন আহত হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলমান কমিটির সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাস্টার নজরুল ইসলামের সঙ্গে নতুন কমিটির সভাপতি পদে আগ্রহী হাজী রুহুল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী মাস্টার সাঈদ খোকনের সংঘর্ষ বাঁধে। অন্যদিকে জিয়া ও নজরুল কমিটিতে থেকে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এতে সাঈদ ও তার পক্ষের লোকজন বাধা দেন। তর্ক-বির্তকের এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সাঈদ গ্রুপের আনিছুল হক সুমন দেশিয় তৈরি অস্ত্র দিয়ে গুলি করে এবং ব্যাপক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় ও মসজিদের পাশে মাদ্রাসা, মক্তবে ভাংচুর করে। এতে উভয় পক্ষের ২০জন আহত হয়। এদের কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাত ও শনিবার সকাল পর্যন্ত ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শেষে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড গুলির ব্যবহৃত খোসা এবং ৩টি ককটেল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।