নরফোকের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে শেষ হতে পারেনি। শুক্রবার সাসেক্সর বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামে বাংলাদেশ। এদিন অবশ্য বৃষ্টি হানা দেয়নি। এই ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
শুক্রবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান করে বাংলাদেশ দল। জবাবে ৪০.৩ ওভারে ১৮০ রানে অলআউট হয়ে যায় সাসেক্স। তাতে ১৩৪ রানে জয় পায় বাংলাদেশ দল।
ব্যাট হাতে অপরাজিত ৬০ রান করার পর বল হাতেও ৩টি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এ ছাড়া তাসকিন আহমেদ ও শুভাশীষ রায় ২টি করে উইকেট নেন। সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান ও সাঞ্জামুল ইসলাম ১টি করে উইকেট নেন।
ব্যাট হাতে সাসেক্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন রবসন। অপরাজিত ৪০ রান করেন জেনার। সাসেক্সের হয়ে খেলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ৩২ রান।
তার আগে হোভের সেন্ট্রাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুক্রবার টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সাসেক্স একাদশ। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। আগের ম্যাচে ফিফটি করা সৌম্য সরকার মাত্র ৬ রান করেই সাজঘরে ফিরেন। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন ইমরুল কায়েস ও সাব্বির রহমান।
ডাওবার্নের বলে জ্যাকব স্মিথকে ক্যাচ দেওয়ার আগে সাব্বির করেন ৫২। ৫৫ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ইনিংসটি সাজান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সাব্বির ফিফটি করে ফিরলেও ইমরুল অবশ্য সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছিলেন। তবে অন্য ব্যাটসম্যানদের সুযোগ দিতে ৯২ রানে স্বেচ্ছায় অবসরে যান ইমরুল। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৭৮ বলে ১২ চার ও এক ছক্কায় সাজান ইনিংসটি।
শেষ দিকে দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ পর্যন্ত ৫৫ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম ৩১ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় করেন ৪০ রান। তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
বল হাতে সাসেক্সের স্মিথ ৩ ও রাওলিনস ২টি উইকেট নেন।
মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচেও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুশফিক।