নেপাল থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে দিল্লি। পাশাপাশি বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় জলবিদ্যুৎ সহযোগিতা সমঝোতা স্মারক অতি দ্রুত স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে।
রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চতুর্থ যৌথ পরামর্শক কমিশনের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মতির কথা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, ‘নেপালের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানিতে সহায়তা করার জন্য ভারত সম্মত হয়েছে।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রয়োজন, তাই ভারত বাংলাদেশকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এই পরিমাণ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হবে।
মাহমুদ আলী এক বিবৃতিতে বলেন, সড়ক, রেল ও নৌপথে যোগাযোগ বাড়াতে ভারত ও বাংলাদেশ নানাভাবে কাজ করে আসছে। আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য আজ আমরা নতুন কিছু প্রস্তাব রেখেছি। ভারত সেগুলো ইতিবাচক দৃষ্টিতে বিবেচনার কথা বলেছে।
বিবৃতি থেকে জানা যায়, ঢাকা-চেন্নাই-কলম্বো বিমান চলাচল, চট্টগ্রাম-কলকাতা-কলম্বো জাহাজ চলাচল, পঞ্চগড়-শিলিগুড়ি রেল যোগাযোগ, ভারতীয় ভূ-খণ্ডের ওপর দিয়ে ভুটানের সঙ্গে ইন্টারনেট যোগাযোগ, বাংলাদেশের নাকুগাঁও স্থলবন্দর থেকে ভারতের ডলু হয়ে ভুটানের গাইলেফুং স্থলবন্দরের সঙ্গে বাণিজ্য যোগাযোগের প্রস্তাব প্রভৃতি।
মাহমুদ আলী বলেন, ভুটান যাতে পরে যোগ দিতে পারে, সে সুযোগ রেখেই বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারত বিবিআইএন মোটরযান চুক্তি বাস্তবায়ন করবে।