বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বা বিপিএলের কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে জুয়া খেলার অভিযোগে সম্প্রতি ৭৭ জন জুয়াড়িকে ধরে স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন বিদেশিও রয়েছেন।
বিপিএল কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্রিকেট জুয়া নিয়ে কোন আইন না থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। সেকারণে তারা এবিষয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস বিবিসি বাংলাকে বলেছেন বেটিং ঠেকানোর জন্য স্টেডিয়ামে পুলিশের কিছু নজরদারি দল থাকে, যারা সন্দেহভাজনদের ওপর নজর রাখেন ।
তাদের সহায়তা নিয়েই সন্দেহভাজন এই জুয়াড়িদের ধরা হয়েছে। ইউনুস বলেন, আটককৃতদের মধ্যে ভারতীয় ও পাকিস্তানি নাগরিকও রয়েছেন। তিনি বলেন, এরা সবাই বিপিএলের ম্যাচের বিভিন্ন দিক নিয়ে বেটিংএ জড়িত ছিলেন। ইউনুস আরো বলেন, যারা সরাসরি মাঠে বসে ম্যাচ দেখছেন, তার তুলনায় যারা বাংলাদেশের বাইরে বসে টিভিতে খেলা দেখছেন, তারা খেলাটা আসল সময়ের চাইতে কয়েক সেকেন্ড পরে দেখতে পান। সময়ের এই ব্যবধানকে কাজে লাগিয়েই জুয়াড়িরা কোন বলে কে আউট হবে বা কে বাউন্ডারি মারবেন ইত্যাদি নিয়ে বেটিং করছে।
বিপিএল-এর মরশুমে দেশের অনেক জায়গাই জুয়ার কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে বলে তিনি জানান। কয়েকদিন আগে বিপিএল নিয়ে জুয়াকে কেন্দ্র করে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র খুন হওয়ার খবর গণমাধ্যমে আসার পর এটির ব্যাপকতা সামনে আসে। ইউনুস বলেন বাংলাদেশে বেটিং নিষিদ্ধ হলেও বেটিং বিরোধী আইন না থাকায় শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বিসিবির পক্ষ থেকে সব জায়গায় নজর রাখাও কঠিন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন এ ব্যাপারে বিসিবির পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার রাতেই মামলা করা হবে। তবে পুলিশের এআইজি মিডিয়া সোহেলি ফেরদৌস বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তার পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনো মামলা করা হয় নি।
সূত্র: বিবিসি বাংলা