মিরপুরে বয়স্কভাতা প্রদানকালে ইউএনও এসএম জামাল
সরকারের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ করতে দিশার মতো অন্য প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে
এস এম জামাল, কুষ্টিয়া: প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসুচীর আওতায় প্রবীণদের মাঝে বয়স্কভাতা প্রদান করা হয়েছে। রোববার দুপুরে মিরপুর উপজেলার মশান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এসব বিতরন করা হয়। পিকেএসএফ ও দিশার যৌথ উদ্যোগে ইউনিয়নের ৭৫জনের মাঝে প্রত্যেককে ৬শ টাকা করে প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব বিতরণ করেন মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম জামাল আহম্মেদ। এসময় তিনি বলেন, দরিদ্র, হত দরিদ্র, পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠির উন্নয়ন তখনই ঘটবে যখন দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্রতা অনেক কমেছে। সমৃদ্ধি প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তিই পারে দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে। আমরা চাই সব মানুষেই যেন উন্নয়নের ছোঁয়া পায়। সরকারী সহযোগীতার পাশাপাশি বেসরকারী পর্যায়ে দিশা এই বয়স্কভাতা চালু করছে জেনে আমি ভীষন আনন্দিত। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকাসহ আরো বেশি বেশি করে দরিদ্র প্রবীণদের জন্য বয়স্কভাতার কার্যক্রম করতেও অনুরোধ জানান। তিনি আরও বলেন, যদি বেসরকারী এনজিওগুলো এগিয়ে আসে তবে দেশ আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এবং সরকারের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ করতে সক্ষম হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে দিশার নির্বাহী পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম বলেণ, বারুইপাড়া ইউনিয়নের মশান গ্রামেই দিশা সংস্থার কার্যক্রম শুরু। যখনই আমরা ভালো কাজ শুরু করতে যায়। তখনই শেখড়ের কথা মনে হয়। তাই যেখানে দিশার জন্ম সেখানোই ফিরে আসি। আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ৭৫ জন প্রবীণ ব্যাক্তি বয়স্কভাতা পাবেন। তিনি আরও বলেন, নানান চড়াই উৎরায় পার করে দিশা আজকের এই অবস্থানে আসতে পেরেছে। এই দিশা সংস্থা সারাদেশে ২৫টা জেলায় কাজ করছে। দিশা সংস্থার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বারুইপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মন্টু, ইউনিয়ন জাসদ নেতা রাহেন উদ্দিন, মশান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ চাঁদ।