মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন আতপ চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি প্রাথমিক চুক্তি সই হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে দুই দেশের মধ্যে এক বৈঠকে এ চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কায়কোবাদ এবং মিয়ানমারের পক্ষে দেশটির রাইস ফেডারেশনের (এমআরএফ) ভাইস প্রেসিডেন্ট মি. অং থান উ।
সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমার প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশে এক লাখ টন চাল রফতানি করতে সম্মত হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ ১০ লাখ টন চাল আমদানির প্রস্তাব দেয়। প্রতি টন চালের দাম পড়বে ৪৪২ ডলার।
আরও জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী উভয় দেশের প্রতিনিধি দল ১০ দিনের সময় পেয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের সম্মতি নেবে নিজ দেশের প্রতিনিধি দল। পরে চুক্তি অনুযায়ী চাল আমদানি করা হবে।
এদিকে, সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন আতপ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
কবে নগাদ চাল আমদানি শুরু হতে পারে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রক্রিয়া শেষ হতে যেকয়দিন সময় লাগে। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে। পরে পর্যায়ক্রমে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির অনুমোদন হলেই আমরা চাল আমদানির জন্য এলসি খুলবো। তার পরেই চাল আসা শুরু করবে।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার চাল রফতানির চুক্তি করতে ঢাকায় আসে মিয়ানমারের ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। রবিবার দলটির সদস্যরা দিনব্যাপী বৈঠক করে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে।