মিয়ানমারে সেনা অভিযানের মুখে কক্সবাজারের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে এদেশে অনুপ্রবেশকালে দুইটি নৌকাসহ অন্তত ২২ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি।
বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. আবু রাসেল সিদ্দিকী বলেন, নাফ নদীর জাদিমুরা পয়েন্ট দিয়ে ভোররাতে দুইটি নৌকায় করে অন্তত ২০ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। এসময় বিজিবির টহলদলের সদস্যরা জলসীমার শূন্যরেখায় অভিযান চালিয়ে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে।
গত ২১ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত টেকনাফের নাফ নদীর বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গাদের বহনকারী ৮৬টি নৌকা অনুপ্রবেশ চেষ্টাকালে ফিরিয়ে দিয়েছে বলে জানান মেজর রাসেল।
বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি কড়া নজরদারী অব্যাহত রেখেছে।
“শনিবার ভোররাতে বিজিবির টহলদল সীমান্তের উখিয়ার বালুখালী পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ চেষ্টাকালে দুই রোহিঙ্গা নারীকে ফেরত পাঠিয়েছে।”
গত ১ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত অনুপ্রবেশ চেষ্টাকারি ৪৮০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানান ইমরান।
গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের তিনটি সীমান্ত পোস্টে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ হামলায় নয় সীমান্ত পুলিশ নিহত হওয়ার পর রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জেলাগুলোতে শুরু হয় সেনা অভিযান।
এরপর সহিংসতায় ৮৬ জনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। নিহতদের মধ্যে ৬৯ জনকে সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে দাবি করছে তারা।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
সেনা অভিযানে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া এবং বেসামরিকদের হত্যার অভিযোগ করেছে সংগঠনগুলো, যদিও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সরকার তা অস্বীকার করেছে।
এ ঘটনার পর থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি থাকা সত্ত্বেও তাদের দৃষ্টি এড়িয়ে অনেক রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে এদেশে আশ্রয় নিয়েছে।