দারুণ একটা মৌসুম জয়ের আনন্দটা স্থায়ী হলো না ঢাকা আবাহনীর। এরই মধ্যে আবাহনীকে বিদায় বলে দেশে ফিরে গেছেন কোচ জর্জ কোটান। এ মৌসুমে তাঁর অধীনে ফেডারেশন কাপ ও লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আকাশি-নীলরা। স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে খেলেছে।
সফল এই কোচকে হারানোর ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই চ্যাম্পিয়নদের জন্য আরেকটি হতাশার খবর, মাঠের সাফল্যের অন্যতম প্রধান নায়ক লি টাকও নেই। এই ব্রিটিশ ফরোয়ার্ড ২০ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া মালয়েশিয়ান লিগে খেলবেন নেগারি সেমবিলানের হয়ে, গত বছর যারা মালয়েশিয়ান লিগে চতুর্থ হয়েছে। নতুন দলে নাম লিখিয়ে লি প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আবাহনীতে খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মালয়েশিয়ার ক্লাবটাকে না বলা সম্ভব ছিল না আমার পক্ষে। তবে যেখানেই থাকি আবাহনীর জন্য শুভেচ্ছা। হয়তো আবার সুযোগ পেলে খেলব।’
লি ঢাকার ফুটবলে প্রথম ব্রিটিশ ফুটবলার, আবাহনীর জার্সিতে এবারের লিগে ১৬ ম্যাচে ১০ গোল করেছেন। ফেডারেশন কাপে ২ ও স্বাধীনতা কাপে ৪ গোল করেছেন। তবে লিকে বেশি মনে রাখতে হবে মাঠজুড়ে তাঁর খেলার ধরনে। আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রুপুর কাছে লির চলে যাওয়া তাই বড় এক ধাক্কা, ‘লির মতো খেলোয়াড় থাকলে যেকোনো দলই শক্তিশালী হবে। প্রথম মৌসুমেই সে খুব ভালো খেলেছে ঢাকায়। সবার চোখ কেড়েছে। আমরা তাকে ধরে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মালয়েশিয়ায় ভালো সুযোগ পেয়ে সে চলে গেছে।’
ফরোয়ার্ড হলেও লি দলের খেলাটা নিচে থেকে তৈরি করে সানডেকে দিয়ে গোল করিয়েছেন। সদ্য শেষ হওয়া লিগে আবাহনীর ৪৮ গোলের ১৯টির মালিক সানডে গোটা লিগেরই সর্বোচ্চ গোলদাতা। লি ঢাকা ছাড়লেও এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকারের আবাহনীর সঙ্গে থাকার কথা, তবে দ্রুতই চোট কাটিয়ে ফিরতে পারেন কি না সংশয় আছে।
আবাহনীর সামনে ব্যস্ত সময়। এএফসি প্রেসিডেন্ট কাপে ঢাকায় তাদের প্রথম ম্যাচ ১৪ মার্চ। ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে শুরু শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব টুর্নামেন্টে খেলবে আবাহনী। কিন্তু নতুন যাত্রায় কোটান-লিকে ছাড়া আবার নতুন করেই গোছাতে হবে আবাহনীকে।