টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ভালো নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। মাহমুদউল্লাহর অর্ধশতকে ভর করে স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ১৪২ রান। বল হাতেও শুরুটা ভালোই হয়েছিল মাশরাফি বাহিনীর। তবে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে আরো একবার হারের তিক্ত স্বাদ দিলেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন ও কলিন ডি গ্রান্ডহোম। ৬ উইকেটের হার দিয়ে নতুন বছর শুরু করতে হলো মাশরাফিদের।
ওয়ানডে সিরিজের দলে সুযোগ না পাওয়ার পর টি-টোয়েন্টিতে দারুণভাবেই ফিরেছেন রুবেল হোসেন। নিজের প্রথম ওভারেই সাজঘরমুখী করেছেন কিউই ওপেনার নেইল ব্রুমকে। বাউন্ডারি লাইনে অসাধারণ এক ক্যাচ ধরেছেন সাকিব আল হাসান। পরের ওভারে কলিন মুনরো ফিরে গেছেন মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে। রানের খাতা না খুলেই বিদায় নিতে হয়েছে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। দুই ওভার পর মারমুখী ব্যাটসম্যান কোরি অ্যান্ডারসনের (১৩) উইকেটও তুলে নিয়েছেন সাকিব। সাত রান করে টম ব্রুস ফিরেছেন রানআউটের ফাঁদে পড়ে। তবে এরপর বাংলাদেশকে আর কোনো সুযোগ দেননি উইলিয়ামসন ও গ্রান্ডহোম। পঞ্চম উইকেটে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। দুই ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে স্বাগতিকরা। ৫৫ বলে ৭৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন উইলিয়ামসন। গ্রান্ডহোমের ব্যাট থেকে এসেছে ২২ বলে ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দ্রুত তিন-চারটি উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে মাহমুদউল্লাহর ৫২ রানের লড়াকু ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত মাশরাফি বাহিনী পেয়েছে লড়াই করার মতো পুঁজি। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ২০, সাব্বির রহমানের ১৬, সাকিবের ১৪ রানের ছোট ইনিংসগুলোও বড় অবদান রেখেছে স্কোরবোর্ডে ১৪২ রান জমা করার পেছনে।