বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
সবাইকে নাস্তিক বানানোর জন্য তিনি প্রচার ও প্রসার করে বেড়ান, তাই তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করেছি
প্রকাশ: ১০:৫০ am ০৪-০৩-২০১৮ হালনাগাদ: ১০:৫৪ am ০৪-০৩-২০১৮
 
 
 


‘জাফর ইকবাল ইসলামের শত্রু, তাই তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করেছি। উনি নিজে নাস্তিক হতে পারেন, কিন্তু সবাইকে নাস্তিক বানানোর জন্য তিনি প্রচার ও প্রসার করে বেড়ান। এই অধিকার তাঁর নেই।’

জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী যুবক প্রাথমিকভাবে এই স্বীকারোক্তিই দিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) কাছে।

হামলাকারীর নাম ফয়জুর রহমান (২৪)। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিয়াপন গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশে কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়ায় থাকেন ফয়জুর। তিনি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছেন। ফয়জুর মঈন কম্পিউটার নামে একটি দোকানে কাজ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের একটি উৎসব ছিল। সেই উৎসবে অংশ নিয়ে অন্যদের সঙ্গে মুক্তমঞ্চে বসে ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এক যুবক হঠাৎ পেছন থেকে তাঁর মাথায় ছুরিকাঘাত করেন।

সঙ্গে সঙ্গেই হামলাকারীকে ধরে ফেলে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। রাতে তাঁকে নেওয়া হয় র‍্যাব হেফাজতে। হামলাকারী এখন সিলেট সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আজ সকালে র‌্যাব-৯-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ হামলাকারীর বরাত দিয়ে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভূতের বাচ্চা সোলায়মান নামক একটি উপন্যাসের কথা উল্লেখ করেন হামলাকারী। তিনি বলেন, এই উপন্যাসের মাধ্যমে জাফর ইকবাল নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। তাই আমি হামলা করেছি।’

জিজ্ঞাসাবাদে আরো কিছু জানা গেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘হামলাকারী এখন সিলেট সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর বাইরে আর কিছু জানতে চাওয়া সম্ভব হয়নি। সে সুস্থ হলে আমরা এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।’

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT