জাপানের ম্যাচের ধারাবাহিকতা, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ধরে রাখতে চায় বাংলাদেশ। দলের সবাই এক হয়ে খেলতে পারলে শেষ ম্যাচে আরো ভালো কিছু করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ফুটবলাররা। জাপানের বিপক্ষে ভালো পারফরম্যান্সে টিম অফিসিয়ালদের কাছ থেকে বাড়তি পুরস্কার পেয়েছে কিশোরীরা। এটা তাদের আরো ভাল খেলতে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলেও, জানালেন মাহমুদা, শামসুন্নাহাররা।
নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে জাপানের বিপক্ষে সেরা পারফরম্যান্স এটি। সব বিভাগেই জাপানের বিপক্ষে সমানতালে লড়েছে কৃষ্ণা, স্বপ্নারা। আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু এমন পারফরম্যান্সের পর স্বস্তির পরশ এখন বাংলাদেশ শিবিরে। ম্যাচের পর পুরো রাত চোখের পাতা এক করতে পারেননি গোলরক্ষক মাহমুদা। দারুণ পারফরম্যান্সের পর উচ্ছ্বসিত এই গোলরক্ষক।
'কোরিয়ার বিপক্ষে আমরা ৯-০ গোলে হেরেছি। তারপরে খুব খারাপ লেগেছে। যদি ওই ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করতাম তাহলে জাপানের বিপক্ষে এতো ভালো করতে পারতাম না। যে ম্যাচে নয় গোল খেয়েছি সেই ম্যাচের কথা বাদ দিয়ে দিয়েছে। সামনের ম্যাচটা নিয়েই কেবল চিন্তা করেছি। সেজন্যই জাপানের বিপক্ষে ভালো করতে পেরেছি।' বলছিলেন মাহমুদা।
কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে রক্ষণভাগে যে ধ্বস নেমেছিলো জাপানের বিপক্ষে চিত্রটা ছিলো তার উল্টো। দীর্ঘ অনুশীলনে শেখা বিষয়গুলো মাঠে প্রয়োগ করতে পারারা করণেই এই ফলাফল এসেছে বলে জানালেন ফুটবলাররা। গ্রুপের শেষ ম্যাচেও এই পারফরম্যান্স ধরে রাখার আশা তাদের।
দুই ম্যাচে বাংলাদেশ হজম করেছে ১২টি গোল। শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার অবস্থাও একই রকম। উত্তর কোরিয়া ও জাপানের বিপক্ষে মিলিয়ে তাদের কপালেও জুটেছে ১২ গোলের লজ্জা। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অনেকটাই নির্ভার ছোটনের শীষ্যরা।
জাপানের বিপক্ষে ভালো পারফর্ম করায় ৫০ ডলার করে বাড়তি পুরস্কার পেয়েছে ফুটবলাররা। বিকেলটা তাই শপিং করেই কেটেছে কৃষ্ণাদের।
জাপানের বিপক্ষে ম্যাচটা ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে দারুণভাবে সাহায্য করেছে বাংলার মেয়েদের। ফিরেছে আত্মবিশ্বাস, বেড়েছে মনোবল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাই ভালো কিছু করার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ দল।