আগস্টে ব্রীজ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিচ্ছে বাংলাদেশ,২২ দলের বিশ্বকাপে মধ্যপাচ্য ও এশিয়ার মধ্যে ২ টি দেশ সুযোগ পাচ্ছে, বাছাই পর্বে বাংলাদেশ হয়েছে বার্নার আপ আর গ্রুপ সেরা ভারত।এদেশে ৪০ বছর ধরে ব্রীজ ফেডারেশন কাজ করলেও এবারই প্রথম বিশ্বকাপে খেলছে বাংলাদেশ।ভবিষ্যৎ এ খেলাটিতে সরকারের সু দৃষ্টি আশা করছেন ফেড়ারেশনের সভাপতি।
বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই যেখানে ব্রীজ খেলার প্রচলন নেই।বিল গেটস এর প্রিয় খেলার তালিকায় রয়েছে এই ব্রীজ।এবার এই ব্রীজ বিশ্বকাপে নাম উঠতে যাচ্ছে বাংলাদেশের।এই মাসে দুবাইয়ের ব্রীজ বিশ্বকাপের জোন ৪ বাছাই পর্ব হতে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।বিশ্বকাপের ইউরোপের ৭টি দেশের সাথে উড়বে বাংলাদেশের পতাকাও।
এ প্রসঙ্গে ব্রীজ সভাপতি জনাব মুশফিকুর রহমান বলেন, “আমাদের বহু সমস্যার থাকা সত্ত্বেও আমাদের দামাল ছেলেরা বিশ্বকাপের চুড়ার্ন্ত পর্বে খেলার সুযোগ করে নিয়েছে, এই চুড়ার্ন্ত পর্ব আগষ্ঠ মাসে ফ্রান্সের লিও শহরে অনুষ্ঠিত হবে।য়ার দ্বিতীয়ত্ব ব্রীজ এশিয়ান গেমস এ যোগ হয়েছে যেটা জাকাতায় আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে এবং ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিকের মূল ইভেন্টেও ব্রীজ যোগ হয়েছে, তাই এখন বাংলাদেশে ব্রীজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, আর এর জন্য আমাদের একটা জিনিস আপাতত প্রয়োজন তা হলো খেলার মত একটা জায়গা।৭০০০-৮০০০ স্কয়ার ফিট এর একটা জায়গা আর ৬০-৭০ লাক্ষ টাকাত মর্ডাণ যন্ত্রপাতি লাগবে । আর যন্ত্রপাতি আমি আশা করছি এগুলো স্পন্সর থেকে সংগ্রহ করতে পারবো”।
বাংলাদেশ এই খেলাটাকে দেখা হয় একড়ু ভিন্ন চোখে, তাস নামে এই খেলাকে উৎসাহিত করার থেকে নিৎসাহিত করা হয় বেশি।৪০ বছর ধরে ফেড়ারেশন চালিয়ে গেলেও আর প্রচার তেমন হয়নি।
আর এই প্রসঙ্গে ব্রীজ সভাপতি জনাব মুশফিকুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশে তাস খেলা মানেই সর্বনাশ! এই ধরণের একটা বাজে চিন্তা মানুষের মনে। বাংলাদেশের বাইরে ইন্ডিয়াতে ও এখন পাঠ্যক্রমে ব্রীজকে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়াতেও ৭২০০০ রেজির্ষ্টাড স্কুল ব্রীজ খেলোয়াড় আছে, আমেরিকায়-কানাডায় একটা স্কুল যত না ছাত্র তার শতভাগ এ ব্রীজ খেলোয়াড় আছে এবং পাঠ্যক্রমে ব্রীজকে অর্ন্তভূক্ত করা আছে”।
শুধু বিশ্বকাপেই নয় ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিকেও উড়বে বাংলাদেশে পতাকা।