২০১৫ সাল থেকে ফুটবলের বাইরে থাকলেও এবার ঘোষণা দিয়ে ফুটবলকে বিদায় জানালেন বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার ও স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার ৩৭ বছর বয়সী সাবেক তারকা রোনালদিনহো। বুধবার এক টুইট বার্তায় রোনালদিনহোর ভাই ও তার এজেন্ট লিখেন, সে থেমে গেছে। এখানেই শেষ। আমরা ব্রাজিল, ইউরোপ ও এশিয়ায় বিভিন্ন ইভেন্ট করব এবং অবশ্যই আমরা ব্রাজিল দলের সঙ্গে কিছু করতে যাচ্ছি। রবার্তো আরও জানান, রাশিয়া বিশ্বকাপের পর হয়তো তার (রোনালদিনহোর) বিদায়ী ম্যাচ আয়োজন করা হবে। আগামী আগস্টে একটা বড় ও সুন্দর কিছুই হবে। ৩৭ বছর বয়সী রোনালদিনহো ২০০২ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন। ২০০৬ সালে বার্সেলোনার হয়ে তিনি চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছিলেন। ২০০৫ সালে জিতেছিলেন ব্যালন ডি’অর। ১৯৮৭ সালে মাত্র ৭ বছর বয়সে ব্রাজিলের ক্লাব গ্রেমিওর ইয়ুথ টিমের হয়ে খেলতে শুরু করেন রোনালদিনহো। সেখানে তালিম নেয়ার পর ১৯৯৮ সালে গ্রেমিওর হয়ে তার সিনিয়র ক্যারিয়ার শুরু হয়। ওই ক্লাবটির হয়ে আলো ছড়িয়ে ২০০১ সালে তিনি ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে যোগ দেন। এরপর ২০০৩ সালে তাকে দলে ভেড়ায় স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। ২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি খেলেন বার্সেলোনায়। বার্সায় পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি দুটি লা লিগা ও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছেন। ২০০৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি এসি মিলানের হয়ে খেলেছেন। সেখানে খেলাকালিন ২০১০-১১ মৌসুমে তিনি ইতালিয়ান সিরি’আ লিগের শিরোপাও জিতেছিলেন। ২০১১-২০১২ পর্যন্ত তিনি ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লেমেঙ্গোর হয়ে খেলেন। এরপর অ্যাটলেটিকো মিনেইরো (২০১২-২০১৪), মেক্সিকোর কোয়েরেতারো (২০১৪-২০১৫) ও ফ্লুমিনেসের (২০১৫) হয়ে খেলেন। খুব কম সংখ্যক ফুটবলারই আছেন যাদের ভাগ্যে একইসঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লীগ, কোপা লিবারটেডোরস ও বিশ্বকাপের শিরোপা হাতে নেবার সৌভাগ্য হয়েছে। ৩৭ বছর বয়সী রোনালদিনহো তাদের মধ্যে অন্যতম। এ পর্যন্ত ব্রাজিলের জাতীয় দলের হয়ে ৯৭ ম্যাচ খেলেছেন রোনালদিনহো। মাঝমাঠের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ৩৩টি গোলও করেছেন তিনি। বার্সেলোনার হয়ে খেলেছেন ১৪৭ ম্যাচ। ২০০৬ সালে দলটির হয়ে জেতেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। আগের বছর জিতেছিলেন ব্যালন ডি’অর। কাতালান ক্লাবটির হয়ে নামের পাশে যোগ করেছেন ৭০ গোল। এসি মিলানের হয়ে ৭৬ ম্যাচ খেলে বল জালে জড়ান ২০ বার।