আজ সোমবার বিকেলে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে দশম এশিয়া কাপ হকির ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছে। ১৯৮৫ সালে দ্বিতীয় এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৩২ বছর পর ফের দশম এশিয়া কাপের আয়োজক হল বাংলাদেশ। হকির কিংবদন্তী আব্দুস সাদেক সে সময়ও ছিলেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) সাধারণ সম্পাদক। এবারও তিনি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।
স্বাভাবিক কারণেই একটু উৎফুল্ল তিনি। ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘৪৮ ঘন্টা পরই শুরু হতে যাচ্ছে বহু কাঙ্খিত এশিয়া কাপের দশম আসর। দলগুলোও চলে এসেছে। ঘরের মাঠে দুটি এশিয়া কাপের সাক্ষী। আশা করছি সকলের সহযোগিতায় সফলভাবেই এই আসর আমরা শেষ করতে পারব। এর প্রমাণ আমরা রেখেছি অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে ও ওয়ার্ল্ড হকি লিগ রাউন্ড টু আয়োজন করে।’
এশিয়া হকি ফেডারেশনের (এএইচএফ) সিইও তৈয়ব ইকরাম প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাংলাদেশকে। কয়েক দিন আগেও হকির যে অবকাঠামো ছিল সেটির চেয়ে ঢের উন্নতি দেখতে পেয়েছেন এশিয়া হকির এই কর্তা। তিনিও আশ্বস্থ করেছেন বাংলাদেশকে। আন্তর্জাতিক ভেন্যুও হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘বাহফে কর্তাদের চাহিদার ফসল এই এশিয়া কাপ। তারা তাদের কথা রেখেছে। এএইচএফের প্রধান শর্ত ছিল ফ্লাড লাইট। সেটি তারা পূরণ করতে পেরেছে। অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ এক সময় তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে বলে আমার বিশ্বাস। এ সকল উন্নতির জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ সকল সহযোগি মন্ত্রণালয় এবং বিশেষ করে ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শুভেচ্ছা রইল।’
মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন এএইচএফের সদস্য বাংলাদেশের আব্দুর রশিদ সিকদার, হিরো মটরর্সের অজয় সিনহা, এএইচএফ এর স্পোর্টস ডিরেক্টর এলিজাবেথ জোন্স।
ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করেন আট দলের অধিনায়ক। ট্রফির একপাশে ছিলেন ‘এ’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশের অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি, পাকিস্তানের অধিনায়ক ইরফান, ভারতের মনপ্রীত, জাপানের ইয়ামাশিতা মানাবু। অপরপাশে ছিলেন ‘বি’ গ্রুপে থাকা কোরিয়ার অধিনায়ক জাং মানজাই এবং মালয়েশিয়া, চীন ও ওমানের অধিনায়ক।
পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার অধিনায়কেরা শিরোপা জয় করার কথা বললেও বাংলাদেশের অধিনায়ক জিমি ভালো খেলার এবং একটা অঘটন ঘটানোর প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।