টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল, পচেফস্ট্রুম টেস্ট হারের পর স্বীকার করেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। একই সঙ্গে সেট হয়েও প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা ইনিংস লম্বা করতে না পারাটাকেও হারের কারণ বলছেন তিনি। তবে পচেফস্ট্রুমের এমন ফ্ল্যাট উইকেটে অবাক হয়েছেন খোদ প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।
সেই শঙ্কাটাই সত্যি হলো। ব্যাট হাতে চতুর্থ ইনিংসের শেষ দিনে টিকতে পারেনি ঘণ্টা দেড়েকও, ৭ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ৪১ রানে। এমন করুণ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে এমন শঙ্কাটা জেগেছিলো ৫ দিন আগে যখন বাংলাদেশ টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলো। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে কী বুঝে এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুশফিক?
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মলনে স্বীকার করলেন উইকেট বুঝতে না পারার কথা, আমরা ভাবিনি এতটা ফ্ল্যাট উইকেট হবে। তারপরও সঠিক জায়গায় বল করতে পারলে খেলা কঠিন হচ্ছিলো। সেখানে আমাদের বোলাররা তাদের সেরাটা দিতে পারেনি। একই সঙ্গে প্রথম ইনিংসে ব্যাটসমানরা ইনিংসগুলো লম্বা করতে পারেনি। এখানেই আসলে পিছিয়ে পরেছিলাম।
মুশফিক যখন বোলারদের দুষছেন তখন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির মুখে তার বোলারদের প্রশংসা, এই উইকেট দেখে আমি বেশ অবাকই হয়েছি। বাংলাদেশ অনেক খুশিই হয়েছিলো নিশ্চই। কিন্তু ভাল লাগার ব্যপার হলো এই কন্ডিশনেও আমাদের বোলাররা সঠিক লাইনে বল করে গেছেন। কোনো অভিযোগ নেই তবে পরের টেস্টে আরো বাউন্সি উইকেটের জন্য অনুরোধ করছি।
প্রোটিয়া অধিনায়কের আবদার রাখলে পরের টেস্টে আরো কঠিন চ্যালেঞ্জেই যে পরতে হচ্ছে মুশফিককে তা বেশ ভালোই বুঝতে পারেছেন টাইগার দলপতি। তাইতো মূল মিডল অর্ডারে নিজের দায়িত্বে আরও বেশি সচেতন হবার চেষ্টা তার।
স্বীকার করেছেন প্রয়োজনের সময় দায়িত্বটা নিতে না পারার কথা। বলেন, ‘৯০ রানে অলআউট হয়ে খারাপ লাগছে কিন্তু এটাও সত্যি যে এটা বাংলাদেশের স্বাভাবিক খেলা নয়। পরের টেস্টে সামার্থ্য প্রমাণের চেষ্টা করবো।’
নিজের পারফরম্যান্সে নিয়ে ভাবলেও সাফল্য অর্জনে দলীয় পারফরম্যান্সের তাগিদ দিয়েছেন টাইগার দলপতি মুশফিক।