প্রতিবেশী দেশ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে দক্ষিণ কোরিয়ার। চলমান অস্থির পরিস্থিতির কারণে, নিরাপত্তা শঙ্কায় আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পাওংচাংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক গেমসে খেলতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স। অংশ না নেয়ার আভাস মিলেছে আরো কয়েকটি দেশের কাছ থেকে। তবে, পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হওয়ার আগেই খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যা যা করা দরকার, তার সব কিছু করার ঘোষণা দিয়েছে আয়োজক দক্ষিণ কোরিয়া।
১৯৮৮ সালের সিউলে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পর কেটেছে ২৯ বছর। দীর্ঘ বিরতির পর আবারো অলিম্পিক আয়োজনের ক্ষণ গুণছে দক্ষিণ কোরিয়া। আগামী বছর ৯ ফেব্রুয়ারি ৯০ টি দেশের অংশগ্রহণে পাওংচাংয়ে বসছে শীতকালীন অলিম্পিক গেমস।
১৫ টি ডিসিপ্লিনের ১০২ টি ইভেন্টে বিশ্বকে চমকে দেয়ার অপেক্ষায় খেলোয়াড়রা। আগের আসরের চেয়ে এবারো আরো আধুনিক প্রযুক্তি, মনোমুগ্ধকর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে দিনরাত পরিশ্রম করে চলছেন আয়োজকরা।
তবে, আসর শুরুর আগেই সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। প্রতিবেশী দেশ উত্তর কোরিয়া গেল দু'সপ্তাহে দু'দুবার পারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে আবারও শক্তিশালী বোমার পরীক্ষা চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছে পিয়ংইয়ং।
আগের থেকেই চির বৈরী সম্পর্ক দুই কোরিয়ার মাঝে। নতুন করে সৃষ্ট এ অস্থির অবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন খেলোয়াড়রা।আসরের ভেন্যু পাওংচাংয়ে যেয়ে খেলতে এরইমধ্যে নিজেদের অসম্মতির কথা জানিয়েছে ফ্রান্স। অনিশ্চিত জাপান সহ আরো কয়েকটি দেশেরও।
তবে, চলমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, খেলোয়াড়দের কড়া নিরাপত্তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আয়োজক দক্ষিণ কোরিয়া।
২০১৮ শীতকালীন অলিম্পিক কমিটির আয়োজক লি ঝিয়ে বলেন, 'প্রত্যেকটি খেলোয়াড়ের নিরাপত্তা দেয়া আমাদের প্রধান দায়িত্ব। এজন্য আমরা সব সময় সচেতন আছি। আইওসির সাথে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে সবাইকে অনুরোধ করবো, আসরে অংশ নিতে।'
২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে শীতকালীন অলিম্পিক গেমস।