বাংলাদেশকে ২২২ রানের টার্গেট দিয়েছে সফরকারী লঙ্কান দল। প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে সতর্কভাবে খেলতে পারলেও পরে টাইগারদের বোলিং দাপটের কাছে অনেকটাই খেয় হারিয়ে ফেলে লঙ্কানরা।
মাশরাফিকে চার মেরেই ইনিংস শুরু করেছিলেন মেন্ডিস। পরে ওভারে মিরাজের উপর তো এক প্রকার ঝড়ই বয়ে গেল। তিন ছয় ও এক চারে এই স্পিনারের ওভার থেকে তুলে নিলেন ২৩ রান। নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে মেন্ডিস ঝড় থামালেন মাশরাফি। মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি করে মাত্র ৯ বলে ২৮ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান টাইগার এই অধিনায়ক। এর আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথমবারের মত মাঠে নেমেই জ্বলে উঠেন মিরাজ। বল হাতে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরান গুনাথিলাকাকে। তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান করেন মাত্র ৬ রান। এরপর নিরোশান ডিকভেলাকে ফেরান সাইফুদ্দিন।
৫০ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২১ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন উপল থারাঙ্গা। তিনি ৯৯ বল খেলে রান করেন ৫৬। তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মোস্তাফিজ। ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ দলে এসেছে তিনটি পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন ওপেনার এনামুল বিজয়, অলরাউন্ডার নাসির হোসেন ও পেস বোলার আবুল হোসেন রাজু। প্রথমবারের মত ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলছেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। এছাড়া দলে ফিরেছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এদিকে শ্রীলঙ্কা দলে এসেছে একটি পরিবর্তন। চায়নাম্যান সান্দাকান বাদ পড়েছেন। তার জায়গায় অভিষেক হচ্ছে পেসার শিহান মদুশঙ্কার। শ্রীলঙ্কা আজও খেলছে চার পেসার নিয়ে।