গতকাল থেকে ডারউইনে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সাত দিনব্যাপী প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে আসার আগে এ ক্যাম্পেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারবেন স্টিভেন স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নাররা। ডারউইনের মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এখন নাম টিআইও স্টেডিয়াম) স্থানীয় পিচ প্রস্তুতকারীরা স্মিথদের জন্য পুরো বাংলাদেশি পিচই তৈরি করে দিয়েছেন, যাতে অজিদের প্রস্তুতিতে কোনো খামতি না থাকে। সে রকম ধীর ও নিচু বাউন্সের উইকেট এবং স্পিনসহায়ক। এটা সরাসরি লেহম্যান ও টেস্ট অধিনায়ক স্মিথের অর্ডার। কোচ লেহম্যান বলছিলেন, ‘সব ঝামেলা মিটিয়ে ক্রিকেটাররা এখন ফের মাঠে। সবার ভাবনাতেই এখন বাংলাদেশ সফর। অধিকাংশের কাছেই এটা নতুন চ্যালেঞ্জ। যেটা গ্রহণ করতে উন্মুখ দলের তরুণ ক্রিকেটাররা। আর তাতে খাপ খাইয়ে নিতে মারারার পিচ কিউরেটর এবং তার সহকারীরা দারুণ একটা কাজ করেছে। তারা খেলোয়াড়দের জন্য একেবারে বাংলাদেশি পিচ তৈরি করে দিয়েছে। সেই ধীরগতির, নিচু বাউন্স আর স্পিনে ভরা।’ -তো কেমন পিচ হয়েছে সেগুলো? অজি কোচের কথাতেই তা জানুন-‘ওরা আমাদের জন্য মোট ছয়টি পিচ তৈরি করে দিয়েছে। যার তিনটি একেবারে ঢাকার পিচের কাছাকাছি ধরনের, আর বাকি তিনটি চট্টগ্রামের মতো। এ দুটি উইকেটে আমরা অনুশীলন ম্যাচও খেলব। তাছাড়া ডারউইনের গরম এবং আর্দ্রতাও প্রায় বাংলাদেশের মতোই। কাজেই বাংলাদেশের কন্ডিশন ও পিচে খেলার জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়েই আমরা সেখানে যাচ্ছি। এমন যখন প্রস্তুতি, তখন বাংলাদেশ সফরে সাফল্যের আশা আমি অবশ্যই করছি। যদিও জানি, স্বাগতিকরা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবেই।’ ২০০৬ সালে বাংলাদেশে রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়ার সর্বশেষ টেস্ট সফরের রেকর্ডটাও খতিয়ে দেখছেন লেহম্যান। সেটা দেখে তার মন্তব্য, ‘প্রথম টেস্টে তো পন্টিংদের একসময় কোণঠাসাই করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। আসলে তার ঠিক আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে সোজা বাংলাদেশে গিয়ে টেস্টে নামায় পন্টিংদের সমস্যাই হয়েছিল। ভাগ্য ভালো যে প্রথম ইনিংসে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের আর দ্বিতীয় ইনিংসে পন্টিংয়ের অধিনায়কোচিত সেঞ্চুরি দলকে বাঁচিয়েছিল। এখন তো বাংলাদেশ সে সময়ের চাইতে অনেক শক্তিশালী। অতএব সেরা প্রস্তুতি না নিয়ে যাওয়ার তো প্রশ্নই নেই। আর সেটাই করছি আমরা।’ দীর্ঘদিন খেলার বাইরে থাকাটা বাংলাদেশ সিরিজে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করেন লেহম্যান। বলছিলেন, ‘খেলোয়াড়রা সবাই পেশাদার। খেলার বাইরে থাকলেও তারা জানে কীভাবে ফিরতে হয়। এজন্য ক্যাম্পে আমরা খেলোয়াড়দের মনঃসংযোগ ও ফিটনেস নিয়েও কাজ করব। আসলে বাংলাদেশ সফরটা আমরা যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছি। এ সিরিজ দিয়েই আমাদের দীর্ঘ নতুন আন্তর্জাতিক মৌসুম শুরু হচ্ছে।’