অবনমন এড়ানোর লড়াইয়ে থাকা লেগানেসের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হোঁচট খেতে বসেছিল বার্সেলোনা। তবে লিওনেল মেসির জোড়া গোলে শেষ পর্যন্ত পুরো তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে লুইস এনরিকের দল।
মেসির গোলে বার্সেলোনা শুরুতে এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে সমতা টানেন উনাই লোপেস। ১-১ সমতায় শেষ হতে যাওয়া ম্যাচের শেষ দিকে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ফের বল জালে পাঠালে ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
এমএসএন-এর নৈপুণ্যে ঘরের মাঠে বার্সেলোনার শুরুটা হয় দুর্দান্ত। নেইমারের বাঁ-দিকে বাড়ানো রক্ষণচেরা পাস ধরে ছয় গজ বক্সে ক্রস দেন লুইস সুয়ারেস। আর ডান দিক দিয়ে ভিতরে ঢোকা মেসি টোকা দিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান।
আক্রমণভাগের ছন্দে ফেরার আভাস মিললেও রক্ষণের দুর্বলতা এদিনও ম্যাচের শুরুতেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সামুয়েল উমতিতি-লুকাস দিনিয়েদের ফাঁকি দিয়ে সপ্তদশ মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন নাবিল। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার গায়ে মেরে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মরক্কোর এই মিডফিল্ডার। তার ফিরতি শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
২৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। কিন্তু সুয়ারেসের পাস গোল করার মতো পজিশনে পেয়েও গোলরক্ষক বরাবর মেরে বসেন মেসি।
বিরতির ঠিক আগে সমতায় ফিরতে পারতো লেগানেস। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নাবিলের জোরালো শট উমতিতির গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে ঢুকতে যাচ্ছিল। দারুণ ক্ষিপ্রতায় শেষ মুহূর্তে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক টের স্টেগেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও বার্সেলোনার রক্ষাকর্তা টের স্টেগেন। দুরূহ কোণ থেকে স্পেনের ফরোয়ার্ড গেররেরোর জোরালো শট দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকান তিনি। কিছুক্ষণ পর লেগানেসের আরেকটি পাল্টা আক্রমণ রুখতে ব্যর্থ স্বাগতিক রক্ষণভাগ। উমতিতিদের গতিতে পরাস্ত করে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার আলেকসান্দের। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পাশের জালে মেরে বসেন তিনি।
৬৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিলেন রাফিনিয়া। দুজনকে কাটিয়ে তার নেওয়া শট গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও ঠেকিয়ে দেন দিয়েগো রিকো।
এর দুই মিনিট পরেই পুরো কাম্প নউকে স্তব্ধ করে দেন কিছুক্ষণ আগে বদলি নামা উনাই লোপেস। স্পেনের এই মিডফিল্ডারের নিচু জোরালো শট পা দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন টের স্টেগেন; কিন্তু বল তার পায়ে লেগে জালে জড়ায়।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সফল স্পটকিকে জয়সূচক গোলটি করেন মেসি। বাঁ-দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢোকা নেইমার ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় বার্সেলোনা।
১৯ গোল নিয়ে লিগের গোলদাতার তালিকায় এককভাবে শীর্ষে উঠলেন মেসি। সুয়ারেসের গোল ১৮টি।
যোগ করা সময়ে নাবিলের কোনাকুনি বিদ্যূৎ গতির শট পোস্ট ঘেষে বাইরে চলে গেলে জয়ের আনন্দেই মাঠ ছাড়ে কাতালুনিয়ার ক্লাবটি।
২৩ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়া সেভিয়ার পয়েন্ট ৪৯।
দুই ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদ ৫২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে।