২০১৭ / ১৮ মৌসুমে লিওনেল মেসির দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকে ঘরের মাঠে এইবারকে ৬-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রামে রাখলেও তরুণদের নিয়ে জয়রথ অব্যাহত রেখেছেন চিরতরুণ এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। ম্যাচের শুরুতে ঝলক দেখানো এইবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খেই হারিয়েছে। এ যেন ২০০৮ / ০৯ এর ক্ষুরধার বার্সা। পাসিংএ নিখুঁত, প্রতি-আক্রমণে দ্রুত, আর ফিনিশিং এ নির্মম।
বার্সেলোনা একাদশে ছিল ৬টি পরিবর্তন। বেঞ্চে ছিলেন লুইস সুয়ারেজ ও ইভান রাকিতিচ। ইনজুরির কারণে উসমানে ডেম্বেলে ৪ মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে যাওয়ায় মেসির সঙ্গী হয়েছেন ডেনিস সুয়ারেজ ও জেরার্ড ডেলোফু। পাউলিনহো, সেমেদো, মাচেরানো ও দিনিয়েও ছিলেন শুরুর একাদশে।
৩ মিনিটেই কাঁপিয়ে দিয়েছিল এইবার। একা পেয়েও টের স্টেগানকে হারাতে পারেননি এইবার ফরোয়ার্ড সার্জি এনরিচ। ১০ মিনিটে আবারও এইবারের আক্রমণ, এবারে জাপানি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ইনুই। সেই ইনুই, যার গোলে গেল মৌসুমে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সাকে হারিয়ে দিচ্ছিল এইবার। তবে এবারে সুবিধা করতে দেননি বার্সা গোলরক্ষক।
২০ মিনিটে বার্সা ডিফেন্ডার নেলসন সেমেদোকে ফাউল করেন আলেহান্দ্রো গালভেজ। পেনাল্টি স্পট থেকে মৌসুমে নিজের ষষ্ঠ গোল করেছেন মেসি। ৩৭ মিনিটে কর্নার থেকে গোল করেছেন শুরুতেই বার্সা সমর্থকদের আস্থা হারানো পাউলিনহো। ডেনিস সুয়ারেজের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন ব্রাজিলীয় মিডফিল্ডার। বহুদিন পর মাঠে শারীরিক ভাবে শক্তিশালী এক মিডফিল্ডারের অস্তিত্ব টের পাচ্ছে বার্সেলোনা। প্রথমার্ধ শেষে ২-০তে এগিয়ে ছিল বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৮ মিনিটে বিদ্যুৎগতির এক প্রতি আক্রমণে এইবার রক্ষণ ছিঁড়ে ফেলেন মেসি। তিন ডিফেন্ডার যখন মেসির শট আটকাতে ব্যস্ত তখন গোলরক্ষকের ঠেকিয়ে দেওয়া বলে কাছের পোস্টে গোল করেছেন ডেনিস সুয়ারেজ। বাম প্রান্তে অনেকটাই অপ্রতিরোধ্য ছিলেন বার্সার এই তরুণ ফরোয়ার্ড।
৪ মিনিট পর সফরকারীদের হয়ে এক গোল শোধ করেছিলেন এনরিচ। জুনকা রেনের ক্রস থেকে দর্শনীয় ফিনিশিং দেখিয়েছেন। কিন্তু পাঁচ মিনিট পর আবারও মেসি-ঝলক। তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল ঠেলেছেন পোস্টের বাঁ প্রান্তে। হ্যাটট্রিক পূর্ণ করতে আর মাত্র এরপর মাত্র ১২০ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। নিজেদের অর্ধে বল পেয়ে কাউন্টারে উঠেছেন দ্রুত। তারপর পাউলিনহোর সঙ্গে ওয়ান-টু করে দ্রুত শট নিয়েছেন। তিন ডিফেন্ডার আর গোলরক্ষক মিলেও শেষ রক্ষা হয়নি এইবারের।
তবে ভাগ্যকে দুষতেই পারেন পেনা। তাঁর শটে বল গোললাইনের হাওয়া গায়ে লাগিয়েও পোস্টে যায়নি। এক মিনিট পরই বদলি খেলোয়াড় অ্যালেক্স ভিদালের ক্রস থেকে নিজের চতুর্থ গোল করেন লিও মেসি। লিগে এই নিয়ে ৫ ম্যাচে ৯ গোল করেছেন মেসি, সব মিলিয়ে মৌসুমে ১৬ গোল। (সূত্র: ইএসপিএন এফসি)