আলোচিত শ্রীলঙ্কা মিশন শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনস যোগে সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ঢাকা হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন লাল-সবুজের পতাকাবাহীরা।
তবে দলের সাথে নেই সাকিব আল হাসান। আইপিএলে খেলতে তিনি কলম্বো থেকেই ভারতের বিমানে চেপেছেন।
টিম বাংলাদেশের এবারের লঙ্কা সফরটি অন্য যেকোনোবারের চেয়ে দারুণ আলোচিত ছিল। কারণ হিসেবে প্রথমত বলা যায়; স্বাগতিকদের বিপক্ষে সফরকারীদের শততম টেস্ট ম্যাচ জয়। দ্বিতীয়ত; অধিনায়ক মাশরাফির টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা। তৃতীয়ত; টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ তিনটি সিরিজই ১-১ সমতায় শেষ করার রোমাঞ্চ। আর টিম ম্যানেজমেন্টের কর্মকাণ্ড নিয়ে গণমাধ্যমের সরব আলোচনাতো ছিলই!
বছরের শুরুটা হয়েছিল নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে কিউইদের সাথে পুরো সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর ফেব্রুয়ারিতে হায়দ্রাবাদে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো খেলা একমাত্র টেস্ট ম্যাচটিও হেরেছে মুশফিকরা।
তবে ওই দুই সিরিজের চেয়ে শ্রীলঙ্কা সফরের পারুফরম্যান্স বিবেচনায় দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন টাইগাররা। কেননা এই সফরের মধ্য দিয়েই শততম টেস্ট জয়ের গৌরব লাভ করেছে লাল-সবুজের দল। আর এই ঐতিহাসিক জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজের টেস্ট ১-১ এ সমতা আনে আরা।
সফরকারীরা সমতা এনেছে ওয়ানডে সিরজেও। তিন ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডের প্রথমটিতে দাপুটে জয়ের পর দ্বিতীয়টি বৃষ্টিতে পন্ড হওয়ায় তৃতীয়টিতে স্বাগতিকদের কাছে হেরে ১-১ এ সমতায় শেষ করছে।
কম যায়নি দুই ম্যাচ সিরিজের টি টোয়েন্টিতেও। প্রথমটিতে হেরে যাওয়া বাংলাদেশ বৃহস্পতিবারে (৬ এপ্রিল) দ্বিতীয় ম্যাচে সেই হারের প্রতিশোধ নিয়ে ১-১ সমতায় শেষ করেছে ৪০ দিনের লঙ্কা সফর। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বিদায়ী ম্যাচে অধিনায়ক মাশরাফিকে জয় উপহার দেন সতীর্থরা।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ঢাকা ছেড়েছিল টাইগার টেস্ট দল। এরপর ১৮ মার্চ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যান মাশরাফি, শুভাগত হোম, নুরুল হাসান সোহান ও সানজামুল ইসলাম। পরে দলে ডাক পেয়ে যোগ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ।