শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর, সিরিজে সমতা আনার। কিন্তু সেই বিষয়টি ছাপিয়ে এখন টিম বাংলাদেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে জয় উপহার দেয়া। কেননা এই ম্যাচটির পরে টি-২০তে আর তাকে দেখা যাবে না।
এই ম্যাচটির মধ্য দিয়েই দীর্ঘ্য ১০ বছরের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানবেন লাল-সবুজের দাপুটে অধিনায়ক মাশরাফি।
জয় দিয়ে অধিনায়কের শেষ ম্যাচটিকে রঙিন করে রাখার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-২তে লঙ্কানদের মুখামুখি হবে টাইগাররা।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
স্বাগতিক লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজের শুরু থেকেই যে বাংলাদেশকে দেখা গেছে, তাতে তাদের দাপুটে বললে এতটুকুও কম বলা হবে না। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা জিতলেও দ্বিতীয় ও শততম টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা এনে মোক্ষম জবাব দিয়েছে মুশফিকুর রহিম ও তার দল।
শততম টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা আনার পর তিন ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডেতে ৯০ রানের দাপুটে জয় তুলে নিল মাশরাফি বিন মর্তুজা নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। অবশ্য ওয়ানডে সিরিজের শেষ পর্যন্ত এই দাপট ধরে রাখতে পারেনি টাইগাররা। দ্বিতীয়টি বৃষ্টিতে ভসে যাওয়ার পর তৃতীয়টি হেরে গেল ৭০ রানে। ফলে ওয়ানডে সিরিজ শেষ করলো ১-১ সমতা নিয়ে।
ওয়ানডে সমতা নিয়ে শেষ করলেও শেষে টি-২০তে শক্তিশালী শ্রীলঙ্কার শক্তিমত্তার সামনে বাংলাদেশ কতটা ভাল করতে পারবে সেটা নিয়ে সংশয় থাকলেও সফরকারীদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সেই শঙ্কা অনেকাংশেই দূর করতে সক্ষম হয়েছে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ১৫৫ রান করেও টাইগারদের লড়াইটা ছিল কাঁধে কাঁধেই। আর ২০ রান হলে হয়তো জয়ের শেষ হাসিটা মাশরাফিরাই হাসতে পারতেন।
বুধবার (৫ এপ্রিল) ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈতকও তাই বলেছেন। তবে আর পেছনে তাকাতে চাইছেন না তিনি। বরং চাইছেন দ্বিতীয় ম্যাচে জয় নিয়ে সিরিজে সমতা আনতে। ‘প্রথম ম্যাচ হারের পর তো বলতে পারছি না, জিতবো। ড্র ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ নেই। আমাদের সামনে একটাই ম্যাচ সেটায় জিতে সিরিজ ড্র করার চেষ্টা করবো।’
এ কথা ঠিক এই ম্যাচটি জিতলেই সিরিজে সমতা আনতে পারবে টাইগাররা। কিন্তু লঙ্কান শিবেরে চিত্র আবার সম্পূর্ণই উল্টো। কেননা, এই ম্যাচটি জিতলে বাংলাদেশের সাথে চলতি সিরিজে প্রথম কোন সিরিজ জয় করতে পারবে।
সেই লক্ষ্যে লঙ্কানরা সফল হলে মাশরাফির বিদায়ী ম্যাচটি হয়তো জয়ের রাঙিয়ে রাখতে পারবেন না সতীর্থরা। কিন্তু মাশরাফির বিদায়ী ম্যাচে এদেশের কোটি কোটি ক্রিকেট প্রেমীর চোখ যে এদিন তার দিকেই তাকিয়ে থাকবে সেকথা বলার আর অপেক্ষা থাকছে কই?
ভক্তদের এমন ভালবাসা কি জয়ের রঙের চাইতে কোন অংশে কম?