কুষ্টিয়া: সারাদেশে এখন হাড় কাঁপানো শীতের দাপট। এই প্রচ- শীতেও অসহায় দরিদ্র আনোয়ারা বেগমের মুখে অকৃত্রিম হাসি। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মশান এলাকার এই গৃহবধু গত ক’দিন ধরে শীত দুর্ভোগে বেশ কষ্টে দিন যাপন করছিলেন।অর্থাভাবে লেপ বা কম্বল কেনা সম্ভব হচ্ছিল না তার। সোমবার সাহায্য হিসেবে নতুন কম্বল হাতে পেয়ে তার মনে আনন্দের জোয়ার বইছে। কেবল আনোয়ারা বেগমই নন, নতুন কম্বল হাতে পেয়ে তার মতই খুশী আজ আলেয়া বেগম, ফাতেমা বেগম ও রোনী বেওয়া। তাদের ভাষ্য, একটি কম্বল কত প্রয়োজন তা একমাত্র শীতে কষ্ট পাওয়া গরিব মানুষরাই ভালো জানে। কম্বল নিতে আসা এসব বৃদ্ধারা এভাবেই তাদের আনন্দ প্রকাশ করছিলেন। অনলাইন এ্যক্টিভিটিস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সেবামূলক সংগঠন ‘ভালোবাসার কুষ্টিয়া’ উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ উপলক্ষ্যে সারা উপজেলার মধ্যে খন্ড খন্ড করে ক¤॥^ল দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে মিরপুর উপজেলার এক প্রান্তে অসহায়, দুস্থ, শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। এই কম্বল তুলে দেন সংগঠনের সদস্য ও চারণ সাংবাদিক এস এম জামাল। ওই এলাকার আরেক গৃহবধু রোনী বেওয়া বলেন, ‘অভাবের তাড়নায় দুই বেলা খাতি পারিনি। শীতের কাপুড় কিনবো কীভাবদি? তাই ঠান্ডার ভয়ে বিকাল হলেই ঘরে দরজা দিয়া থাকি। দম ফেলতে পারিনি। কম্বলটা পায়ে (পেয়ে) এখন চিন্তামুক্ত হলাম।’ তবে কম্বল পেয়ে খুশী এসব বৃদ্ধারা জানান, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বাররা কম্বল দেবে দেবে করে আর দেয় না। আমরা সময়মতো টোকেন শ্লিপ না পাওয়ায় বঞ্চিত হয়ে তাকি। আব্দুল মজিদ নামের এক তরুন জানান, আমরা ফেসবুকসহ পত্রপত্রিকায় দেখি শীতবস্ত্র বিতরনের সংবাদ।শহর কেন্দ্রীক বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও বিত্তশালীরা প্রতিনিয়ত শীতবস্ত্র করে থাকেন। কিন্তু ইউনিয়ন বা গ্রাম পর্যায়ে দরিদ্র মানুষ থাকলেও সেভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় না। তিনি বলেন, বারুইপাড়া ইউনিয়নে মাঝে মাঝে ইউনিয়ন পরিষদ এবং দলীয়ভাবে যৎসামান্য কিছু কম্বল বিতরণ করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি দিশা নামের একটি সংগঠনও কম্বল বিতরণ করেন। কিন্তু এই যৎসামান্য কম্বল যেন দরিদ্রদের মধ্যে সমভাবে বন্টন না হওয়ায় বঞ্চিত থাকেন অনেকেই। মশান গ্রামের ভুৃমিহীন পাড়া (ইপিলইপিলপাড়া) এলাকায় সবচেয়ে দরিদ্র মানুষের বসবাস।এসব মানুষের জন্য কম্বল বিতরনের বিভিন্ন সংগঠনদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
এস এম জামাল, কুষ্টিয়া থেকে।