সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ জিতে একটু নাটক-নাটক আবহ এনেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম ম্যাচে ভারতের সঙ্গে পাত্তা পায়নি স্বাগতিক দল। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির সামনে ৮ উইকেটে হেরে গেছে তারা। ৭৯ বল হাতে রেখে পাওয়া এই জয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিয়েছে ভারত।
ইনিংসের গতিপথ বিবেচনা করলে, ম্যাচের এমন ফলই ছিল স্বাভাবিক। আরেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নিষ্প্রাণ ম্যাচ দেখতে হয়েছে সবাইকে। তবু এ ম্যাচের কথা ভোলা কঠিন হবে কোহলির জন্য। এ ম্যাচ দিয়েই যে শচীন টেন্ডুলকারকে টপকে গেলেন ভারতীয় অধিনায়ক। ওয়ানডেতে টেন্ডুলকারের কোনো রেকর্ড দখলে নিয়েছেন কেউ-এমন কীর্তির দিন যে খুব বেশি আসে না কোনো ক্রিকেটারের জীবনে। কালকের ইনিংসটি ছিল তাড়া করতে নেমে কোহলির ১৮ তম সেঞ্চুরি। এত দিন এ রেকর্ডটি টেন্ডুলকারের (১৭) সঙ্গে ভাগাভাগি করতে হয়েছিল তাঁকে। কাল থেকে এ রেকর্ড শুধুই তাঁর। সমসাময়িক ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একমাত্র ক্রিস গেইলই (১১) আছেন তাঁর ধারেকাছে। টেন্ডুলকারকে অবশ্য অন্য এক কীর্তিতে আগেই টপকেছেন কোহলি। তাড়া করতে নেমে সেঞ্চুরি করে ১৪ বার দলকে জয় এনে দিতে পেরেছেন টেন্ডুলকার। কোহলির এমন সেঞ্চুরির সংখ্যা এখন ১৬ টি।
কাল ইনিংসের শুরুতেই অবশ্য এমন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ভারত অধিনায়ক। মাত্র ২০৬ রানের লক্ষ্য, তবু প্রথম ওভারেই শঙ্কা জেগেছিল। ৫ রানেই ফিরে গেছেন শিখর ধাওয়ান। আগের দিন, মাত্র ১৯০ রানের লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি ভারত। সিরিজে সমতা আনার প্রতিজ্ঞায় আরেকটি অঘটন কি ঘটাতে পারবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ? কোহলি উত্তরটা ‘না’ বলেই জানিয়ে দিলেন। অজিঙ্কা রাহানেকে (৩৯) প্রথমে চাপ দূর করলেন। পরে দীনেশ কার্তিককে (৫০ *) নিয়ে অনায়াস জয়ের পথে ছুটলেন। মাত্র ১৮ ওভারের জুটিতে ১২২ রান তুলেছেন এ দুজন।
শেষ পর্যন্ত ১১১ রানে অপরাজিত ছিলেন কোহলি। ১১৫ বলের ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও দুটি ছক্কা।