জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ মঙ্গলপৈতা বাজার এলাকার গ্রাম গুলোতে গড়ে উঠেছে নকল আজিজ বিড়ি তৈরীর কারখানা। সম্প্রতি ভ্রাম্যমান আদালত কয়েকবার এ সব নকল বিড়ি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিড়ি তৈরীর সরঞ্জাম ও কয়েক লক্ষ টাকার নকল বিড়ি উদ্ধার করে ধ্বংস ও জরিমানা করেন। কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আবার ও শুরু করে নকল বিড়ি তৈরী ও বেঁচাকেনা। এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে এক সংবাদ কর্মিকে হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বলে, নকল বিড়ি তৈরী কারখানার মালিক ও বিড়ি ব্যবসায়ী দেবরাজপুর গ্রামের আমির হোসেন মোল্যা। সে উচ্চ স্বরে জনসমূখে বলে তুমি আমাদের কিছুই করতে পারবে না কারণ, আমরা নিয়মিত পুলিশ, ওসি, দারোগা ও স্থানীয় নেতাদের টাকা দিয়ে আমরা ব্যবসা করি। দীর্ঘদিন ধরে মঙ্গলপৈতা গ্রামের নকল বিড়ি তৈরীর কারখানা গড়ে তুলেছে । এরা নাকি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ ব্যবসা করে। এ সব ব্যবসায়ীরা হলো, দেবরাজপুর গ্রামের আমির মোল্যা, শাহাজাহান, বকুল, তোহাজ্জত শেখ, ইলিয়াস শেখ, রওশন শেখ, মুজিদ মোল্যা, অনজুরা বেগম, আসলাম, আকিদুলসহ অনেকে।
২০১৬ সালের ১৬ জুন নকল বিড়ি তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়ে নকল বিড়ি তৈরী ও মজুদ অভিযোগে কালীগঞ্জ উপজেলার দেবরাজপুর গ্রামের আসলাম হোসেন ও আকিদুল ইসলাম নামের ২ ব্যক্তির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও জরিমানা দিয়েছিল ভ্রাম্যমান আদালত। সে সময় বিড়ি তৈরীর উপকরণসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার নকল ব্যান্ডরোলসহ আসলাম হোসেন ও আকিদুল ইসলাম নামের দুই জনকে আটক করা হয়। পরে আদালত বসিয়ে ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে আসলাম হোসেনকে ৬ মাসের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, এবং আকিদুল ইসলামকে ২ মাসের কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয়। পরে উদ্ধারকৃত নকল বিড়ির উপকরণ পুড়িয়ে ধ্বংস করে। পরে জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার আগের মত ব্যবসা শুরু করে।
দেবরাজপুর গ্রামের শাহাজাহান আলী বিগত ৩৫ বৎসর ধরে এই নকল আজিজ বিড়ি তৈরী করে আসছে। রংপুর, ও বগুড়া থেকে নকর আজিজ বিড়ি তৈরীর সমস্থ সরঞ্জাম ক্রয় করে আনে। এই অবৈধ ব্যবসার কারনে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আজিজ বিড়ির মালিক আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার এক যুবক জানান, এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে এলাকার এক ইউপি সদস্য, সে প্রতি সপ্তাহে থানা পুলিশ প্রশাসন, নেতাদের নাম করে ৮ হাজার টাকা নকল বিড়ি কারখানার মালিকদের কাছ থেকে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) মিজানুর রহমান খান বলেন, আমি এ থানায় নতুন আসছি তাই কারা কোথায় নকল বিড়ির কারখানা করে জানা নেই। আপনারা তাদের নামের তালিকা দেবেন। তাহলে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।