১০০ মিটার মিডলের রিলে জিতে বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপের এক আসরে ফেল্প্সের সর্বোচ্চ সাতটি সোনা জয়ের রেকর্ড ছুঁয়েছেন। সেই ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে সাত সোনা জিতেছিলেন ফেল্প্স। ২০১১ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রায়ান লোক্টি গলায় ঝোলাতে পেরেছিলেন পাঁচটি সোনা। আর কিংবদন্তি স্পিৎজ ১৯৭২-এর মিউনিখ অলিম্পিকে জিতেছিলেন সাতটি। বুদাপেস্টের পুলে গত শনিবার একদিক থেকে ফেল্প্স-স্পিৎজকেও ছাড়িয়ে গেছেন ড্রেসেল। ৯৮ মিনিটের মধ্যে জিতেছেন তিনটি সোনা। যেটি বড় কোনো প্রতিযোগিতায় এর আগে করে দেখাতে পারেননি কেউ।
ড্রেসেলের জন্য প্রশংসার ঝাঁপি খুলে দিয়েছেন ব্রেস্টস্ট্রোকে অলিম্পিক সোনাজয়ী যুক্তরাষ্ট্রের আরেক সাঁতারু রায়ান মারফি, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পুরুষ সাঁতারুদের হিসেবে এটা সম্ভবত পাঁচটি সেরা প্রতিযোগিতার একটি। বাকি চারটি মাইকেল ফেল্প্স ও রায়ান লোক্টির।’ সুইডেনের সাঁতারের রানি সারা শোস্ট্রমও ড্রেসেলের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ।
ড্রেসেল অবশ্য মাটিতেই পা রাখছেন। ফেল্প্স আর স্পিৎজকে ছোটবেলা থেকেই আদর্শ মেনে এসেছেন ২০ বছর বয়সী এই মার্কিন সাঁতারু। তাঁদের সঙ্গে তুলনা করাটা ড্রেসেলের চোখে বাড়াবাড়ি, ‘মাইকেলের সঙ্গে তুলনা চাই না আমি। তাঁকে আমি ভালোবাসি।’ অনেক প্রশংসাই পেয়েছেন। তবে ড্রেসেলের কাছে সবচেয়ে আনন্দের ছিল শনিবার তিনটি সোনা জয়ের পর মুঠোফোনে পাওয়া ফেল্প্সের ‘ভালো করেছ’ খুদে বার্তাটি।
সাত দিনের ব্যস্ত সূচির ক্লান্তি হয়তো সাত সোনার আনন্দে ভুলে থাকছেন ড্রেসেল। তবে উপলক্ষটা সেভাবে উদ্যাপন করতে পারছেন কই! ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার এই ছাত্রকে আজই অনলাইনে বসতে হচ্ছে অঙ্কের পরীক্ষা দিতে। পুলে ‘এ প্লাস’ পেলেও অঙ্কটা ড্রেসেলের মাথায় একটু কমই ঢোকে, ‘বি মাইনাস পেলেই খুশি হব আমি!’ এএফপি।