চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে মোট চারহাজার ১৪৪ নারী ও মেয়ে শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড লবির পরিচালক মাকছুদা আখতার জানান, জানুয়ারি থেকে অক্টোবর, এ সময়কালে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮৭৫ জন। তাদের মধ্যে ১৩৪ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩১ জনকে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৪০ জনকে।
তিনি আরো জানান, উত্ত্যক্ত ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৩৩১ জন। তাদের মধ্যে উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ২৪০ জনকে। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৭১ জন। আটজন উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছেন। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নির্যাতন করা হয়েছে ১২ জনকে।
মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, “মানুষের আত্মকেন্দ্রিকতা, আইন লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলো থেকেই সহিংসতার মাত্রা বাড়ছে, পাশবিকতা নতুন নতুন আঙ্গিকে আসছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে অনেক আইন হচ্ছে কিন্তু সেখানে কিছু ত্রুটি থাকায় এবং অনেক ক্ষেত্রে তদন্তের সঠিক প্রতিবেদনের অভাবে যথাযথ বিচার পাওয়া যায় না।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘পরিবার ও জনজীবনের সকল ক্ষেত্রে নারী ও কন্যার প্রতি উত্ত্যক্তকরণ, যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নির্মূল কর’ শ্লোগানে এবছর বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রসহ ৬৩টি জেলা শাখা এবং ২২৬৭টি তৃণমূল শাখায় ১৫ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন করতে যাচ্ছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সহ সভাপতি নাহার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ ও সীমা মোসলেম, সহ সাধারণ সম্পাদক মাসুদা রেহানা বেগম, সিনিয়র আইনজীবী দীপ্তি সিকদার, রাম লাল রাহা প্রমুখ।